চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনারের ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বেড়েই চলছে নিহতের সংখ্যা। আট ফায়ার যোদ্ধাসহ এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯ জনে। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৪৫০ জন।
রোববার (৫ জুন) বিকেল ৫টায় এসব তথ্য জানা যায়।
এর আগে, রোববার (৫ জুন) ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং একটি বেসরকারি হাসপাতালেও মারা গেছেন কয়েকজন। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে দগ্ধ হয়ে ভর্তি আছেন ১৫০ জন।
-
আরও পড়ুন... ডিপোর সেই কনটেইনারে ছিল হাইড্রোজেন পার অক্সাইড!
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. আলাউদ্দীন তালুকদার আরটিভি নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল ছাড়াও বেসরকারি ম্যাক্স, ন্যাশনাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে আহতরা ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া সিএমইচ হাসপাতালেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা চিকিৎসাধীন আছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এখন ২৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
-
আরও পড়ুন... কন্টেইনার ডিপোতে যেভাবে আগুনের সূত্রপাত
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভেতরে আগুন লাগে। রাত পৌনে ১১টার দিকে এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে, আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ২০ জনের বিশেষ হ্যাজম্যাট টিম চট্টগ্রামে যাচ্ছে। হ্যাজম্যাট (হ্যাজারডাস মেটারিয়াল) টিমে এসব সদস্য দেশে-বিদেশে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত।