চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে চাঁদপুরের কচুয়ার এমরান হোসেন মজুমদার (৪০) নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার (৫ জুন) তার মৃত্যুর খবর জানতে পেলে তার স্বজন ও এলাকাবাসীর মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
কচুয়ার সিংআড্ডা গ্রামের মৃত মকবুল কারীর ছেলে নিহত এমরান হোসেন মজুমদার। নিহত এমরান হোসেনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস, ছেলে তাহসিন মজুমদার ও প্রতিবন্ধী মেয়ে তোবা মজুমদার রয়েছেন। স্বামীকে হারিয়ে স্ত্রী ও সন্তানরা কাতর হয়ে আছেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত এমরান হোসেন ২০০১ সালে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদান করেন।
বর্তমানে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ফায়ার লিডার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিএম কনটেইনার ডিপোর লোডিং পয়েন্টের ভিতরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড রোধ করেত ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটের সঙ্গে যান তিনি। সেখানে রাসায়ানিক পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণে এমরান হোসেন মুজমদার নিহত হন।
নিহতের ভাই সোলমান পাটওয়ারী বলেন, শনিবার রাতে আমার ভাই এমরান মজুমদার বাড়িতে শেষ কথা বলেন। তখন সে আমাদের জানিয়েছিলেন সীতাকুণ্ডে আগুন লেগেছে। তা নেভাতে যাচ্ছে। রোববার সকালে জানতে পারি আমার ভাই বিস্ফোরণে মারা গেছেন। বিস্ফোরণে তার দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। ভাইয়ের এমন করুন মৃত্যু সইতে পারছি না। আমার ভাইয়ের মরদেহ সনাক্ত করে গ্রামের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
নিহতের স্বজন কবির হোসেন মজুমদার, শাহিনুর আক্তার, সোলেমান পাটওয়ারী, শাহপরান ও সুমাইয়া আক্তার জানান, এমরান হোসেন মজুমদার একজন ভালো মানুষ ছিলেন। এমন মৃত্যু আমরা মানতে পারছি না। এমরানকে হারিয়ে শোকের কাতরে পরিণত হয়েছে পুরো পরিবার।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শাহীদুর রহমান বলেন, ইমরান হোসেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হয়েছেন। মূলত তিনি ফায়ার সার্ভিসের অগ্রবর্তী টিমে ছিলেন। আগুন নেভাতে গিয়ে কনটেইনার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই মারা যান।