নওগাঁর অধিকাংশ কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন ইজারাদাররা। পাশাপাশি সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে বিক্রেতার কাছ থেকেও হাসিল নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। তবে রসিদ লেখকের মাধ্যমে হাটের ইজারাদাররা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করছেন। ফলে কোরবানির পশু কিনতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই।
জানা গেছে, কোরবানির পশুর হাটে হাসিল আদায়ের চেকটিতে লেখা হচ্ছে ৫০০ টাকা। কিন্তু ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে থেকে নেওয়া হচ্ছে ৬০০,৭০০ এমনকি ৮০০ টাকা পর্যন্ত। এমনটিই অভিযোগ হাটে কোরবানির পশু বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের। ইতোমধ্যে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাটগুলোতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে ইজারা নীতিমালা অনুযায়ী গরু-মহিষের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের কাছ থেকে ৫০০ টাকা হাসিল নেওয়ার কথা থাকলেও, তাদের কাছে থেকে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছে।
এ ছাড়া হাটে গরুর ব্যাপারী অভিযোগ করে বলেন, গত বছর হাসিল চেক করা হয়েছিল ৫০০ টাকা, যা সরকারি রেট এ বছরও ৫০০ টাকা। কিন্তু ইজারাদার পক্ষ হাসিল চেক নিচ্ছেন ৮০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত। এতে ক্রেতারা সমস্যা মনে করছেন। তাই অনেকে হাট থেকে কোরবানির গরু না কিনেই বাড়ি ফিরছেন। এ ছাড়া হাটে ছাগল ও ভেড়ার হাসিলেও সরকারি মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য রাখছেন আদায়কারিরা।
অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের বিষয়ে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান বলেন, কোরবানির পশুর হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় বন্ধে প্রশাসন কাজ করছে। হাটে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যাচ্ছেন। কোনো হাটের ইজারাদার সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করলে, তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি হয়। এ ধরনের কাজ কোনোভাবেই করতে দেওয়া হবে না।