শিক্ষক হেনস্তার ৩২ দিন পর কাল বুধবার (২০ জুলাই) খুলছে নড়াইল সদরের মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ। প্রথম দিনে শুধু দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান হবে। তবে হেনস্তার শিকার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে ফিরছেন না বলে জানা গেছে।
এদিকে, এ ঘটনায় সোমবার বিচারপতি ভীষ্ফ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশসহ রুল দিয়েছেন। একই সঙ্গে আগামী ছয় সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমকে ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রুলে নড়াইলের ঘটনাসহ দেশর বিভিন্ন স্থানে প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতিতে 'জনতার বিচার' বন্ধ এবং লাঞ্ছনার শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিস্ত্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র সচিব, নড়াইল জেলা প্রশাসক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নড়াইল পুলিশ সুপার, নড়াইল সদর থানার ওসিকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জেড আই খান পান্না ও অনীক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস। গত ৪ জুলাই রিটটি করা হয়েছিল।
মির্জাপুর কলেজের প্রধান অফিস সহকারী পাইলট খান জানান, কলেজে প্রায় সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ চলাকালে গত ১৮ জুন ফেসবুকে মহানবী (সা.)-কে অবমাননার এক ঘটনায় অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে কলেজে জুতার মালা গলায় পরিয়ে পুলিশের সামনে লাঞ্ছিত করা হয়। এরপর কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও ফরম পূরণ অব্যাহত ছিল। এখন পর্যন্ত ৯০ পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছেন। কলেজ খোলার পর প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষার তারিখ দেওয়া হবে।
নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, নভেম্বরে এইচএসসির বোর্ড পরীক্ষা থাকায় বুধবার থেকে তাদের পাঠদান শুরু হবে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকিদেরও পাঠদান শুরু হবে। প্রথম দিন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে থাকবেন না। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি কয়েক দিন ছুটিতে থাকবেন। এ সময় জ্যেষ্ঠ কোনো শিক্ষককে অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হবে।