সারাদেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার লোডশেডিংয়ের সিডিউল প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (২০ জুলাই) সকালে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাতে ওয়েস্টজোন পাওয়ার জেনারেশন ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) ওয়েবসাইটে এ শিডিউল প্রকাশ করা হয়।
খুলনায় কখন, কোথায় লোডশেডিং চলবে-
রাত ১২টা-রাত ১টা পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া ও পল্লীমঙ্গল এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে। রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত হরিণটানা ও নিউমার্কেট, রাত ৪টা-ভোর ৫টা সার্কিট হাউজ, ডিসি অফিস, সদর হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন, আদালত ভবন, জেলা পরিষদ ও সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, রাত ১টা-২টা পর্যন্ত জিন্নাহপাড়া ও হাফিজ নগর, রাত ২টা-৩টা পর্যন্ত সিটি মেইন কেএমপি ও জোড়াগেট ফিডারের কেডিএ এলাকা।
সকাল ৭টা-৮টা পর্যন্ত র্যাব ক্যাম্প, নেভি, ভারী শিল্প এলাকা ও আমতলা শেরে বাংলা রোড, সকাল ৮টা-৯টা মেয়রের বাসভবন, আদালত ভবন, সার্কিট হাউজ, পুলিশ লাইনস, বিটিসিএল, ভিআইপি বাংলো ও নিরালা আবাসিক এলাকা, সকাল ৯টা-১০টা রূপসা সেতু ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, বেলা ১১টা-দুপুর ১২টা দোলখোলা, ফুলতলা, দিঘলিয়া উপজেলা থানা ও ক্লিনিক।
ভোর ৫টা-ভোর ৬টা সিএসএস আভা সেন্টার ও শেরে বাংলা রোড, সকাল ৬টা-৭টা পর্যন্ত সার্কিট হাউজ, জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিস, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়, সদর হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন, আদালত ভবন, জেলা পরিষদ, ভিআইপি বাংলো, রেলওয়ে স্টেশন, শিশু হাসপাতাল ও বানরগাতি বাজার।
বিকেল ৪টা-৫টা কেএমপি, দৌলতপুর বাজার, ডিজিএফআই-এনএসআই অফিস, খালিশপুর থানা, সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকা, বিকেল ৫টা-সন্ধ্যা ৬টা হরিণটানা, বয়রা বাজার, নেভি ক্যাম্প, শেরে বাংলা রোড, সন্ধ্যা ৬টা-৭টা দোলখোলা, মৌচাক টাওয়ার, তেলিগাতি গ্রাম, দিঘলিয়া উপজেলা থানা ও ক্লিনিক, বানরগাতি বাজার।
রাত ১০টা-১১টা মেয়রের বাসভবন, আদালত ভবন, সার্কিট হাউজ, পুলিশ লাইনস, বিটিসিএল, ভিআইপি বাংলো, শিরোমনি বাজার, কাস্টম হাউজ, খুলনা পলিটেকনিক, খালিশপুর ক্লিনিকি, রূপসা শিল্প এলাকা, রাত ১১টা-১২টা বাগমারা, তেলীগাতি গ্রাম, শিরোমনি, ডিজিএফআই, এনএসআই অফিস ও খালিশপুর থানা, নেভি ক্যাম্প আলমনগর বাজার ও রূপসা শিল্প এলাকা।
সন্ধ্যা ৭টা-রাত ৮টা র্যাব ক্যাম্প, নেভি ও ভারী শিল্প এলাকা, দেয়ানা, সরোয়ার খান কলেজ, আদর্শগ্রাম, সুগন্ধি, আমতলা শেরে বাংলা রোড, রাত ৮টা-৯টা সার্কিট হাউজ, ডিসি অফিস, সদর হাসপাতাল, সিটি করপোরেশন, আদালত ভবন, জেলা পরিষদ, রায়েরমহল বাজার, গিলাতলা, পথেরবাজার, নিরালা আবাসিক এলাকা, রাত ৯টা-রাত ১০টা রূপসা সেতু, ফুলতলা, চিত্রালি বাজার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এলাকা।
দুপুর ১২টা-দুপুর ১টা বাগমারা, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, গিলাতলা, সরোয়ার খান কলেজ, আদর্শ গ্রাম, সুগন্ধি ও পল্লীমঙ্গল এলাকা, দুপুর ১টা-২টা পর্যন্ত ডাকবাংলো, মুজগুন্নি আবাসিক এলাকা, মিরের ডাঙ্গা, পথেরবাজার, হাফিজ নগর, দুপুর ২টা-বিকেল ৩টা পাবলা এলাকা, আটরা গিলাতলা, কেডিএ এভিনিউ, বিকেল ৩টা-৪টা জিন্নাহপাড়া, আড়ংঘাটা, মহেশ্বরপাশা, কাস্টম অফিস, খুলনা পলিটেকনিক, খালিশপুর ক্লিনিক, নিউমার্কেট।
এ বিষয়ে ওজোপাডিকো’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার রাতে লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বন্ধের রেশনিং পদ্ধতির সম্ভব্য শিডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এটি পরিবর্তন হতে পারে।
উল্লেখ্য, ২১ জেলার শহর অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকে ওজোপাডিকো। এসব জেলায় মোট ১৪ লাখ ২৮ হাজার গ্রাহক রয়েছে। যার মধ্যে খুলনায় গ্রাহক আছে প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার।