চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় বন্ধুদের মৃত্যুর খবর এখনও জানেন না প্রাণে বেঁচে যাওয়া আহত তানভীর হাসান হৃদয়।
-
আরও পড়ুন... একসঙ্গে চলতেন তারা, একসঙ্গেই মারা গেলেন
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি তানভীর হাসান হৃদয় বলেন, আমরা কোচিং সেন্টারের ১২ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন শিক্ষক মিলে খৈয়াছড়া ঝরনায় গিয়েছিলাম। ঝরনা দেখে ফেরার পথে আমাদের মাইক্রোবাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। দুর্ঘটনায় সময় আমি ঘুমে ছিলাম। বিকট আওয়াজে আমার ঘুম ভাঙে। এরপর ভেতর থেকে কিভাবে বের হয়েছি বলতে পারব না। আমার বাকি বন্ধুদের খবরও এখন পর্যন্ত জানি না।
রেল লাইনের গেটবারটি ফেলা ছিল কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ঘুমে ছিলাম। বিষয়টা বলতে পারছি না। রেলগেট ফেলা থাকলে তো এমন ঘটনা ঘটার কথা না।
-
আরও পড়ুন... ‘বাবা আমি চলে যাব, আমার জন্য দোয়া করিয়েন’
তিনি বলেন, ড্রাইভার ও হেলপারসহ আমরা ১৮ জন ছিলাম। আমি আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমাদের সঙ্গে চার জন শিক্ষক ছিলেন। আর ১২ জন আমরা বন্ধু। বন্ধুদের কি হয়েছে এখনও জানতে পারিনি।
-
আরও পড়ুন... হাস্যোজ্জ্বল ছবিটি এখন কেবল স্মৃতি
নিহত ১১ জন হলেন- কোচিং সেন্টারের চার শিক্ষক জিয়াউল হক (২২), মোস্তফা মাসুদ রাকিব (১৯), রিদুয়ান চৌধুরী (২২) ও ওয়াহিদুল আলম (২৩); শিক্ষার্থী সামিরুল ইসলাম হাসান, মোসাহাব আহমেদ (১৬), ইকবাল হোসেন, শান্ত শীল, মোহাম্মদ আসিফ ও সাজ্জাদ হোসেন এবং মাইক্রোবাসচালক গোলাম মোস্তফা (২৬)।