হতদরিদ্র আবদুল হামিদ একটি মুদি দোকানে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। মাসে যা পান তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর। বাবার সংসারে কিছুটা হাল ধরেন চট্টগ্রাম এমইএস কলেজের অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জিয়াউল হক সজিব। পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করে বাবাকে সহযোগিতা করতেন তিনি। কোনোমতে পরিবারের ছয় সদস্যের সংসার চলে যাচ্ছে।
-
আরও পড়ুন... ‘বাবা আমি চলে যাব, আমার জন্য দোয়া করিয়েন’
কিন্তু ভাগ্য তাদের সহায় হলো না। গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) সকালে ওই কোচিং সেন্টারের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে যান সজিব। সজিব হাটহাজারী উপজেলার চিকনদণ্ডী ইউনিয়নের খোন্দকার পাড়ার আবদুল হামিদের ছেলে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে সবার বড়।
সজিবের এক আত্মীয় বলেন, খুব ভালো ছেলে সজিব। হামিদ ভাইয়ের বড় ছেলে সে। কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের সহযোগিতায় কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতো সে।
-
আরও পড়ুন... একসঙ্গে চলতেন তারা, একসঙ্গেই মারা গেলেন
আরও একজন বলেন, বাবার সংসারে হাল ধরার জন্য সজিব কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করতো। সে আয় দিয়ে সংসার চলতো।
এর আগে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার পূর্ব খৈয়াছড়া গ্রামের ঝরনা এলাকার রেলক্রসিংয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত। এসময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।