টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীতে বড়শিতে ধরা পড়েছে প্রায় একশ কেজি ওজনের শুশুক। শুশুকটি দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেছে।
রোববার (৩১ জুলাই) ভোরে নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া বাজারে সেন্টু নামের এক যুবক শুশুকটি আনে। সেন্টু উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের চরডাঙ্গা গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে।
এলাকাবাসী জানায়, গতকাল শনিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় নদীতে বড়শি ফেলে সেন্টু। রাতে বড়শিতে ছোট একটি বোয়াল মাছ আটকে যায়। সেন্টু মাছটি আনার জন্য যায়। এ সময় আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির শুশুকটি বড়শিতে আটকে থাকা বোয়াল গিলতে গিয়ে আটকে যায়। পরে সেন্টু ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শুশুকটি ধরা হয়। ভোরে শুশুকটি জাঙ্গালীয়া বাজারে নেওয়া হলে মুহূর্তের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে। পরে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ শুশুকটি দেখতে ভিড় জমায়।
সেন্টু মিয়া বলেন, সন্ধ্যায় নদীতে বড়শি ফেলি। রাতে ছোট একটি বোয়াল মাছ বড়শিতে আটকে যায়। ওই বোয়াল মাছটি আনতে যাই। এ সময় আকস্মিকভাবে বিশাল আকৃতির শুশুকটি বড়শিতে আটকে যাওয়া বোয়ালকে গিলে ফেলে। ওই মাছটি দেখে ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করি। আমার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। পরে তাদের সহায়তায় শুশুকটি ধরা হয়।
তিনি আরও বলেন, শুশুকটির ওজন আনুমানিক ১০০ কেজি হবে। ভোরে জাঙ্গালীয়া বাজারে নেওয়া হলে ১৫ হাজার টাকায় স্থানীয় কয়েকজন সেটি কিনে নেন।
ক্রেতা ইসমাইল মিয়া জানান, শুশুকটি ১৫ হাজার টাকায় আমরা কয়েকজন মিলে কিনে ভাগ করে নিয়েছি।
নাগরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. মাছুম বিল্লা জানান, এ ধরনের শুশুক বিলুপ্তির পথে। এটি সংরক্ষিত প্রাণী। আমরা বাজারে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা সেটি কিনে ভাগাভাগি করে নিয়ে নেন।
তিনি আরও জানান, যদি জীবিত থাকত তাহলে উদ্বার করে অবমুক্ত করা হতো। এটি মারা, ধরা ও খাওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ।