সেই শিক্ষিকার মৃত্যু নিয়ে যা বললেন নাটোরের এসপি
নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনা নিয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আপনারা জানেন, সামাজিকমাধ্যমে এটি একটি বহুল আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা। মানসিক চাপের কারণে এটি আত্মহত্যা কি না, আমরা তদন্ত করছি।
-
আরও পুড়ন... ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার
রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে ওই শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধারের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
নিহত শিক্ষিকা মোছা. খাইরুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈড় পৌর এলাকার মো. খয়ের উদ্দিনের মেয়ে। তিনি উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার। তার রাজশাহীর বাঘায় প্রথম বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক কলহে সংসার বেশি দিন টেকেনি তার। তবে ওই ঘরে একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের পরিচয় হয় মামুন হোসেনের সঙ্গে। এরপর থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। একপর্যায়ে ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহবন্ধনে আবন্ধ হন তারা।
লিটন কুমার সাহা বলেন, তদন্ত করলেই সত্যিকার কারণ উদঘাটন হবে। এই ঘটনা কঠিনভাবে তদন্ত করা হবে। মহিলা পুলিশ ঘটনা স্থলে এসেছে। তারা সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করছে। সংশ্লিষ্ট অন্য বাহিনীর সদস্যরাও তদন্ত করবে। তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্ত হলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে হত্যা আর আত্মহত্যা যাই হোক না কেন এমনটা ঘটলো কেন, তা পুলিশ খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে।
-
আরও পুড়ন... ফেসবুক প্রেমের শুরু, শেষ হলো মৃত্যুতে
মন্তব্য করুন