মেহেরপুরের গাংনীর করমদি গ্রামে রঙ্গিলা খাতুন (৩৫) নামের এক নারীকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার জামাতা বাদশা মিয়া। বাদশার নির্যাতন থেকে মেয়ে রিমি খাতুনকে বাঁচাতে গেলে এই নির্মম হত্যার শিকার হন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রঙ্গিলার বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। রঙ্গিলা খাতুন করমদির কৃষক শওকত আলীর স্ত্রী। আহত অবস্থায় রিমিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, করমদী গ্রামের উত্তরপাড়ার বাদশা খান একই গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে সপরিবারে বসবাস করে। ঘটনার সময় স্ত্রী রিমি খাতুনকে মারধর করছিল বাদশা। বেধড়ক মারপিটের একপর্যায়ে রিমির মা রঙ্গিলা খাতুন তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যায়। এ সময় ধারালো দেশীয় অস্ত্র (হাসুয়া) দিয়ে শাশুড়ির ওপরে আক্রমণ করে বাদশা। উপর্যপরি কোপানোর ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে রঙ্গিলা খাতুন।
স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেয়ে এগিয়ে আসলে বাদশা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রিমিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে গাংনী থানার ওসি আবদুর রাজ্জাক বলেন, মরদহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘাতক বাদশাকে আটকের চেষ্টা চলছে।