শেরপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের টয়লেট থেকে রিমন হাসান (১৪) নামে এক শিক্ষার্থীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৬ অগাস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুলের একটি টয়লেট থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রিমন পার্শ্ববর্তী খুনুয়া গ্রামের মো. সাগর মিয়ার ছেলে এবং ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভ্যানচালক সাগর মিয়া ও মা রশিদা বেগমের চার ছেলের মধ্যে রিমন দ্বিতীয়। বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সে। ওইদিন বিকালে মাঠে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলে বাড়ি গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বাইরে বের হয় রিমন। সে মাঝে-মধ্যেই না বলে নানাবাড়ি গিয়ে থাকতো। তাই রাত পেরিয়ে গেলেও তার বাবা-মা কোন খোঁজ নেননি।
এদিকে সকালে ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি এন্ড হাই স্কুলের নাইট গার্ড শেখ ফরিদ স্কুলের টয়লেটে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে নগ্ন ও কাদামাটি মাখা অবস্থায় এক কিশোরের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্কুলের পরিচালক মো. চাঁন মিয়াকে খবর দেন। পরে তিনি পুলিশে খবর দিলে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিমনের লাশের সুরতহাল তৈরি শেষে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পিবিআই, সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ও ডিবি পুলিশের পৃথক পৃথক টিম।
রিমনের বাবা-মা জানান, কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী এলাকার একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রিমনের। সে ওই মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলতো।
স্থানীয়রা জানান, এ এলাকায় দিন দিন কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসীদের উৎপাত বেড়ে গেছে। এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এলাকাবাসী।
এদিকে স্কুলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা তাদের স্কুলে নিরাপত্তার জন্য নাইটগার্ড রেখেছে। কিন্তু কেমন করে এ ঘটনা ঘটলো তা এখনই বোঝা যাচ্ছে না। তারা ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেছেন।
ময়মনসিংহ সিআইডি ক্রাইমসিন ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ জানান, রিমনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে কোন আক্রোশবশত হত্যা করা হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বছির আহম্মেদ বাদল বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের শনাক্ত পূর্বক আটকের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।