ঢাকামঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১

হাতিয়ায় টিকাদান শুরু, পাবে ৮৮ হাজার শিশু

হাতিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২২ , ০২:৫৯ পিএম


loading/img

নোয়াখালী হাতিয়ায় করোনার টিকা পাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৮৮ হাজার ৩৫৮ জন শিশু। বৃস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার গুল্লাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন, পৌর মেয়র কে এম ওবায়েদ উল্যা বিপ্লব, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছলে উদ্দিন, গুল্লাখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান দুলাল, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কাশেম নবির ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিবাকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত শিশুদের এই টিকার কার্যক্রম চালানো হবে। হাতিয়াতে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও নুরানী মাদ্রাসাসহ ৪ শত ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত ৮৬ হাজার ৮৩৮ জন শিশু এই টিকা পাবেন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া গ্রামে গ্রামে গিয়ে বিদ্যালয়ের সাথে সম্পৃক্ত নেই এমন ১ হাজার ৫২০ জন শিশুকে এই টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলে হাতিয়ায় ৫ থকে ১১ বছরের ৮৮ হাজার ৩৫৮ শিশুকে এই টিকার আওতায় আনা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিম উদ্দিন জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৪১টি টিকা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও চেষ্ঠা করা হবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একদিন করে হলেও টিকা কেন্দ্র কার্যক্রম চালানোর জন্য।

তিনি আরও বলেন, হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ এখানে জেলা সদর থেকে দেওয়া নির্দিষ্ট পরিমান টিকা এনে কার্যক্রম চালাতে হয়। মাঝেমধ্যে টিকার মজুত শেষ হয়ে গেলে কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হয়। এজন্য সারা দেশে দুদিন আগে টিকার কার্যক্রম চালু হলেও এখানে দুদিন পরে শুরু করা হয়েছে।
শিশুদের জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে করা রেজিষ্ট্রিশন করে এর টিকা দেওয়া হবে। তবে কেউ রেজিষ্ট্রিশন করতে না পারলে নাম ও মোবাইল নম্বর রেখে আমরা তাকে টিকা দিয়ে দেব।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, হাতিয়া একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা। আবার হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন নিঝুমদ্বীপসহ কয়েকটি চর এলাকা রয়েছে। এখানে শতভাগ শিশুকে টিকার আওতায় আনা একটু কঠিন। এর পরেও আমরা প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। জনপ্রতিনিধেরও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |