যশোরে চুরির অপবাদ দিয়ে জহুরা বেগম (৫০) নামে এক নারীকে গাছে বেঁধে সারারাত মারধর করে চুল কেটে দিয়েছে তার প্রতিবেশীরা।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার দৌগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সোমবারৈ (৭ নভেম্বর) বিকেলে ওই নারীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জহুরা বেগম একই গ্রামের সোহরাব হোসেনের স্ত্রী।
জহুরা বেগম অভিযোগ করে বলেন, নাতনির জন্য রাতে মসজিদের হুজুরের কাছ থেকে তেলপড়া আনতে যাই। সেখান থেকে ফেরার পথে একই এলাকার মুনসুরের বাড়ির পাশ দিয়ে আসার সময় মুনসুর ও তার ছেলে আলামিন বলে যে, তুই বাড়ির পাশ দিয়ে গেলেই বাড়িতে চুরি হয়। এ সময় আমার সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। তখন বাপ ও ছেলে মিলে আমাকে গাছে বেঁধে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট করে। এরপর মুনসুরের স্ত্রী ও আলামিনের স্ত্রী দুজনে মিলে আমার চুল কেটে দেয়।
জহুরা বেগমের বোনের মেয়ে লাবনী আক্তার বলেন, আমার খালা খুব অসহায় মানুষ। মানুষের বাড়িতে কাজ করে খায়। সে এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত না। মুনসুরের সঙ্গে পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে আমার খালাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একজন মানুষ অপরাধ করলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করতে পারতো। কিন্তু চুরির অভিযোগে একজন নারীর সঙ্গে যা করা হয়েছে তা জঘন্য।
এ ব্যাপারে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেন বলেন, চুরির অপবাদে একজন মানুষকে এভাবে মারপিট ও নির্যাতন করা আইনের পরিপন্থী। দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানাই।
এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ দেয়নি। ঘটনার বিষয়ে আমরা শুনেছি। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।