হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রতারককে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।(এপিবিএন)। রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাতে এপিবিএএন এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জিয়াউল হক জিয়া বলেন, বিমানবন্দরে কয়েকজনকে চাকরি দেওয়ার নামে বাংলাদেশ ফ্রেইড ফরোয়ার্ড এসোসিয়েশনের (বাফা) লোডার জিয়া বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. রাসেল আহমেদ আরজু আহমেদ(৩৪), মোস্তাক আহমেদ(৫৭) ও মো শরিফুল ইসলাম (২৬) আমাদের কাছে অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, প্রতারক জিয়াউর রহমান ভুক্তভোগীদের কাছে নিজেকে বিমানবন্দরের একজন সিনিয়র কাস্টমস অফিসার পরিচয় দিয়েছেন। ভুক্তভোগী মো রাসেল আহমেদকে একটি এয়ারলাইন্সের হেল্পলাইনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। একই সাথে মো. শরিফুল ইসলামকেও একই এয়ারলাইনসের ট্রাফিক হেলপার পদে জন্য ৩ লাখ টাকা নেন। অন্যদিকে, আরজু আহমেদকে ব্যাংক থেকে লোন করিয়ে দেবেন বলেন ১ লাখ ২৫ হাজার এবং মোস্তাক আহমেদকেও লোন করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৩ লাখ টাকা নেন জিয়া।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা রোববার এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশে এসে অভিযোগ করেন। এরপর আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি কাস্টমস অফিসার নন। তিনি রপ্তানি কার্গো ভিলেজের একজন লোডার। জিয়া বিভিন্ন জনকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।