গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শ্রীফলতলীর বকসীবাড়ি-চন্দ্রা সড়কের সানাইদাপাড়া এলাকায় খালের ওপর নির্মিত কালভার্টের দু’পাশে দীর্ঘদিন যাবৎ মাটি না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে কয়েক গ্রামের মানুষ। গ্রামবাসীদের ওই কালভার্ট পার হয়ে যেতে হয় হাটবাজার, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালসহ বিভিন্ন কর্মস্থলে। ফলে অনেকেই দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।
তবে কালভার্টের দু’পাশে মাটি ভরাট করে দ্রুত চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বকসীবাড়ি-চন্দ্রা সড়কের সানাইদাপাড়া খালের ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের ৬/৭ অর্থ বছরে ৭ লাখ ২৯ হাজার ৮১৬ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার মিটারের কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি। নিমার্ণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরেও তা সাধারণ মানুষের কোনো কাজে না এসে, উল্টো ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে।
কালভার্টের দু’পাশে উঠা-নামার ক্ষেত্রে মাটি না থাকায় কোনো ধরনের যানবাহন তো দূরের কথা সাধারণ মানুষের হেঁটে চলাচল করাও কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে ওই স্থানে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। কালভার্ট নির্মাণের পর বন্যার পানিতে কালভার্টের দু’পাশের মাটি সরে যাওয়াসহ সড়কের ক্ষতি হয়। সড়কে কালভার্ট থাকা স্বত্ত্বেও এর দু’পাশে মাটি না থাকায় বর্ষা মৌসুমে কালর্ভাটের ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে শিশু-শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা স্থানীয় জন-প্রতিনিধিসহ সচেতন মহলের নজরে পড়লেও, এখনও কোনো কার্যকরী সমাধান না হওয়ায় হতাশ স্থানীয়রা।
ওই এলাকার সানোয়ার, জাবেদ, বিলকিসসহ বেশ কয়েকজন জানান, ১০-১২ বছর ধরে দুই পাশে মাটি নেই। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাবো তাও আবার অনেক কষ্ট করে পার হতে হয়। আমাদের কষ্ট দেখার কোনো নেতা নেই। ভোট আসলেই অনেকে নেতা, চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা আশ্বাস দেয়। কিন্তু পাশ করার পর তাদের আর দেখা যায় না। আমাদের গরীবদের কষ্ট কেউ দেখে না।
কালিয়াকৈর শ্রীফলতলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিবুর রহমান জানান, আমি ক্ষমতায় আসার আগেই ওই কালভার্টের দু’পাশে মাটি নেই। তবে আমার নিজ অর্থায়নে সাময়িকভাবে মাটি ভরাটের কাজ করার জন্য ওই ওয়ার্ডে মেম্বারকে বলা হয়েছে।
কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া আছে। খুব তাড়াতাড়ি কালভার্টের দু’পাশে মাটি ভরাটের কাজ সম্পূর্ন করা হবে।