টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রকে মায়ের সামনেই মারধর ও অপমান করা হয়। এতে রাগে-ক্ষোভে সে মায়ের ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুর ২টায় পৌর এলাকার ঘাটান্দি সোনিয়া হাসপাতালের পাশে একটি ভাড়া বাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তি উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের কুঠিবয়ড়া গ্রামের বাদশা মণ্ডলের ছেলে আবির (১৪)। তিনি পৌর এলাকার ঘাটান্দির আলহাজ হায়দার আলী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৬ মার্চ) রাতে মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার যদুরপাড়া গ্রামের তার নানা সুজ্জত আলীর বাড়িতে যায়। পরে ৮ থেকে ১০ জন বন্ধু মিলে ডাকনাপটল গ্রামে ওয়াজ মাহফিল শুনতে গিয়ে সিংগুরিয়া গ্রামের ডা. ওয়াজেদের বাড়ির গাছে ডাব খাওয়ার জন্য যায়। এ সময় আবির গাছে ওঠে। এক পর্যায়ে আশপাশের লোকজন টের পেয়ে ধাওয়া করলে বন্ধুরা পালিয়ে গেলেও আবিরকে ধরে মারধর করে। পরে আবিরের মাকে ডেকে নিয়ে তাকে চুরির অপবাদ দেয়। এ সময় সেখানে মা তাকে শাসন করে বাসায় নিয়ে আসে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে আবিরের মা ও তার বড় ভাই কর্মস্থলে চলে যায়। পরে একই দিন দুপুরের দিকে তার মা বাড়িতে এসে আবিরকে ডাকতে থাকে এবং বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে দেখতে পায় ভেতর থেকে আটকানো। ওই সময় ডাক-চিৎকার ও তার বড় ছেলেকে ফোন করলে সে বন্ধুদের নিয়ে এসে বাথরুমের দরজা ভেঙে আবিরের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।
নিহতের মামী জানান, চুরির অপবাদ দিয়ে মাকে অপমান করায় ক্ষোভে-দুঃখে আবির আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।