রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, আমরা কাউকেই দোষারোপ করত চাই না। অনেক ক্ষেত্রে বাইরের উস্কানি থাকায় হয়তো আমরা শিক্ষার্থীদের বোঝাতে ব্যর্থ হই। এ কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
সোমবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্নিকাণ্ড ও হামলার সঙ্গে বহিরাগত বিশেষ গোষ্ঠী জড়িত। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) থেকে যথারীতি ক্লাস ও পরীক্ষা চলবে। মঙ্গলবার শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে। তিন সদস্য কমিটি পুনর্গঠন করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট করা হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রোববার আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বসে তাদের বোঝাতে সক্ষম হই। তাদের দাবিগুলো আমরা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ থেকে আর কোন বহিরাগতদের সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না। সোমবার সন্ধ্যা থেকে এ বিষয়ে মাইকিং করা হবে। সন্ধ্যার পর শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড দেখিয়ে চলতে হবে। গতকালকেই আমরা একটি মামলা করেছি।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। এ সময় বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির ড্রাইভার শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। পরে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট এসে আবারও সুপারভাইজারের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর সন্ধ্যায় ৬টার দিকে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।