রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী এলাকায় এক বৃদ্ধকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে একটি সরকারি গণশৌচাগারে আটকে রেখেছিল তার সন্তানরা। পরে সংবাদ পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (১৯ মার্চ) বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিকেলে তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকায় গণশৌচাগারে তাকে আটকে রাখা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যক্তি হলেন, বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী শহীদ মিনার এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে লিয়াকত আলী। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বড় ছেলে মিঠু, সে একজন মুদি ব্যবসায়ী। মেজো এবং ছোট ছেলে সুমন ও লিমন তারা দুজন অটো মিস্ত্রি। তাদের প্রত্যেকের অবস্থা অস্বচ্ছল।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকেলে তার ছেলেরা বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে ওই গণশৌচাগারে আটকে রেখে চলে যায়। এ সময় স্থানীয়রা বিষয়টি বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেনকে মুঠোফোনে জানান। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ওসি নিজে। এ সময় স্থানীয়দের কাছে বিষয়টির বিস্তারিত জানেন তিনি। বৃদ্ধ বাবা তার টাকা, জমি, বাড়ি ঘর মেয়ে ও ছেলেদের লিখে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে লিয়াকত অসুস্থ। মল-মূত্র বিছানায় ত্যাগ করেন বলে ঘৃণায় স্ত্রীদের চাপে ছেলেরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে সরকারী গণশৌচাগারে রেখে যায়। পরে বৃদ্ধের ছেলেদের ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় ওসির নির্দেশে বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, গত শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি ফলোআপ করা হবে।