ঢাকামঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

ভিক্ষা করতে করতে প্রেম-বিয়ে, অতঃপর...

নরসিংদী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৮ মে ২০২৩ , ১১:৫২ পিএম


স্বামীর দুই হাত নেই, আর স্ত্রীর দু’পা অচল। দু’জনেই করতো ভিক্ষাবৃত্তি। ভিক্ষা করতে করতেই প্রেম, তারপর বিয়ে। কিন্তু নরসিংদীর মেহেরপাড়া এলাকার শারীরিক প্রতিবন্ধী তছলিমার কপালে সেই সুখ বেশিদিন থাকেনি। স্বামী কয়েক বছর পর আরেকজনকে বিয়ে করে চলে যায়। আবারও অন্ধকার নেমে আসে তছলিমার জীবনে। দরিদ্র বাবা-মা ও দুই সন্তানের মুখে খাবার তুলে দিতে ফের ভিক্ষার থলে নিয়ে পথে নামতে হয় অসহায় তছলিমাকে।

বিজ্ঞাপন

স্বাভাবিক শিশুদের মতোই বেড়ে উঠেছিল নরসিংদী সদর উপজেলার মেহেরপাড়া এলাকার কাশেম আলীর মেয়ে তছলিমা আক্তার। কিশোরী বয়সে হঠাৎ বাত জ্বরে অবশ হয়ে যায় দুই পা। এরপর থেকেই অন্ধকার নেমে আসে তছলিমার জীবনে। 

দরিদ্র বাবা-মার সংসারে অভাবের তাড়নায় বাধ্য হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করে শারীরিক প্রতিবন্ধী তছলিমা। ভিক্ষা করতে করতেই একসময় পরিচয় হয় দুই হাতহীন যুবক রব্বানীর সঙ্গে।

বিজ্ঞাপন

ময়মনসিংহের গফরগাওয়ের ছেলে রব্বানীর দুই হাত না থাকায় পথে পথে ভিক্ষা করতো। পরিচয়ের কিছুদিন পর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তছলিমার পরিবার না মানায় তারা পালিয়ে বিয়ে করে সুখের সংসার শুরু করে। কিন্তু সেই সুখ বেশিদিন টেকেনি তছলিমার কপালে। 

বিয়ের দশ বছরের মাথায় দুই সন্তানসহ তছলিমাকে রেখে পালিয়ে আরেক নারীকে বিয়ে করে রব্বানী। অনেক অনুনয়-বিনয় করেও তছলিমার সংসারে ফিরিয়ে আনতে পারেনি স্বামীকে। 

তছলিমার পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, রব্বানী এখন তার নতুন স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন জেলায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে আর টিকটক বানায়। 

বিজ্ঞাপন

এদিকে বৃদ্ধ বাবা-মা ও দুই সন্তান নিয়ে অথই সাগরে পড়েছে অসহায় তছলিমা। 

এ বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ্য করে স্থানীয় জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান জানান, অসহায় এই নারীকে দ্রুতই প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |