আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর বিষয়ে ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেননি চেম্বার জজ। তবে তা শুনানির জন্যে আগামী ১২ জুন ঠিক করেছেন আদালত।
বুধবার (৩১ মে) ইজারদার কর্তৃপক্ষের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আপিল আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। অপরদিকে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ মে হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মাদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রাজধানীর আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর বিষয়ে দেওয়া ইজারার কার্যক্রম স্থগিত করে রায় দেন।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ড. মো. ইউনুছ আলী আকন্দ।
এর আগে গত ১৫ মে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাজধানীর আফতাবনগরে গরুর হাট না বসানোর নির্দেশনা চেয়ে এই রিট আবেদন করা হয়। রিটে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি), ঢাকা উত্তর সিটির প্রধান ভূমি অফিসার, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন হাউজিং ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে বিবাদী করা হয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা ইস্টার্ণ হাউজিং আফতাব নগরের ব্লক-‘বি’ থেকে ‘এইচ’ পর্যন্ত খালী জায়গা বাড্ডা ইউনিয়ন পরিষদের অংশ। আফতাব নগরসহ উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন সাতটি স্থানে বাজারের কোরবানির গরু বিক্রির জন্য বাজার ইজারার আহ্বান করেছে।
আফতাবনগরের বাসিন্দাদের দাবি, জহিরুল ইসলাম সিটিতে (আফতাবনগর) বসবাসরত লোকজন পবিত্র কোরবানি ঈদের আগে ও পরে প্রায় এক মাস উষ্ণ অস্থায়ী হাট স্থাপনের কারণে ব্যাপকভাবে মানবেতর জীবনযাপন করেন। যেহেতু চলাচলের প্রধান সড়কের ওপর অস্থায়ী গরু-ছাগলের হাট বসে, (আফতাবনগর) এখানে বসবাসরত নাগরিকগণের যাতায়াতে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এই সময়ে কোনো লোক অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করানোও সম্ভব হয়ে উঠে না। পাশাপাশি কোনো লোক মারা গেলেও তার লাশ বহন করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এছাড়াও গরু-ছাগলের হাট বসানোর কারণে আবাসিক এলাকাটির বসবাসের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। সেই সঙ্গে গরু-ছাগলের নানাবিধ বর্জ্যে এলাকাটির পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত হয় বলে দাবি করেন তারা।