এবার কোরবানির ঈদে হাটে আসছে ২৪ মণ ওজনের ফ্রিজিয়ান ষাঁড় সাদা পাহাড় এবং ২৩ মণ ওজনের কালো পালোয়ান। সাদা পাহাড়ের উচ্চতা ৫ ফিট ৭ ইঞ্চি আর কালো পালোয়ানের উচ্চতা ৫ ফিট ৫ ইঞ্চি।
নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের খামারি শামীম হোসেন ষাঁড় দুটিকে পরম যত্নে লালন-পালন করেছেন। দুটি ষাঁড়কে দৈনিক তিন থেকে চারবার গোসল করানো হয়। খাবার খাওয়ানো হয় ৮ থেকে ১০ কেজি। প্রতি মাসে ষাঁড় দুটির পেছনে খাবারের খরচ ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
খামারি শামীম হোসেন বলেন, দীর্ঘ তিন বছর ধরে সাদা পাহাড় আর কালো পালোয়ানকে লালন-পালন করে আসছি। ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় হওয়ায় খুব দ্রুত এর গ্রোথ বৃদ্ধি পেয়েছে। সঙ্গে ওজনও বেড়েছে। ষাঁড় দুটিকে এবারের কোরবানির পশু হাটে বিক্রি করব। ২৪ মণ ওজনের সাদা পাহাড়ের দাম চাচ্ছি ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আর ২৩ মণ ওজনের কালো পালোয়ানের দাম চাচ্ছি ৬ লাখ টাকা। এবারের ঈদেই গরু দুটি বিক্রি করব।
শামীমের স্ত্রী তিথি বেগম বলেন, সাদা পাহাড় আর কালো পালোয়ানের দৈনিক খাবার তালিকায় ভুট্টার আটা, গমের ভুসি, মসুরের ভুসি, ছোলা, কুঁড়া, লালি, ঘাস, খড়, ভাত দেই। দৈনিক চার বেলা খাবার দিতে হয় আর তিন থেকে চারবার গোসল করানো লাগে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ষাঁড় দুটির যত্ন নিতে হয়।
নওগাঁ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মহির উদ্দিন বলেন, ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের গ্রোথ অনেক বেশি। খামারিরা এ জাতের গরু পালন করে অল্প সময়ে বেশি লাভের মুখ দেখছেন। এই দম্পতি প্রাণিসম্পদ বিভাগের পরামর্শ নিয়ে এখনপর্যন্ত ভালো অবস্থানে আছেন। সাদা পাহাড় আর কালো পালোয়ানকে বিক্রির জন্য জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে যথাযথ সহযোগিতা করা হবে।
