উজানের ঢলে গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাখালি পয়েন্টে ৪৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে চব্বিশ ঘণ্টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার কমেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে আজ শুক্রবার (২৩ জুন) সকাল নয়টা পর্যন্ত এ পরিমাণ পানি বৃদ্ধি ও কমেছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৬৫টি চরের নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকায় পানি উঠেছে।
সকালে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক মুঠোফোনে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে কোনো নদীর পানিই বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল নয়টায় ব্রহ্মপুত্র বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার, তিস্তা ৮৯ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার পানি বিপৎসীমার ৪৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন শুরু হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর গ্রাম ভেঙে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েক বিঘা জমির পাট ও নেপিয়ার জাতের ঘাসের জমি ভেঙে গেছে। পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভাঙন রোধে কিছু এলাকায় নদীর তীরে জিও ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। বাকি অংশেও ফেলা হবে।