ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

পুত্রবধূকে পুড়িয়ে হত্যায় শাশুড়ির মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শুক্রবার, ০৪ আগস্ট ২০২৩ , ১২:৫৮ এএম


loading/img
ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে পুত্রবধূকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় শাশুড়িকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম পারুল আক্তার (৫০)। তিনি করিমগঞ্জের দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের আনোয়ারুল হকের স্ত্রী। নিহত গৃহবধূ পাপিয়া আক্তার (১৯) জেলার মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের নাজির মিয়ার কন্যা। 

বিজ্ঞাপন

কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের স্পেশাল পিপি এমএ আফজল বলেন, মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও নিহতের স্বামী আসিকুল হক (৩০), শ্বশুর আনোয়ারুল হক, দেবর মাসিকুল হক (২৭) ও ফুফু শাশুড়ি বিবি হাওয়া আক্তারকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালে করিমগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ উলুখলা গ্রামের আসিকুল হকের সঙ্গে মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের নাজির মিয়ার কন্যা পাপিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে চাপ দিতে থাকেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাবার বাড়ি থেকে টাকা দিতে না পারায় তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন। ২০১৫ সালের ২ মে সকালে পাপিয়া আক্তারকে মারপিট করে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে ৭ মে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় নিহত পাপিয়া আক্তারের ভাই সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী, দেবর, শ্বশুর-শাশুড়ি ও ফুফু শাশুড়িকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর করিমগঞ্জ থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক এস এম জহিরুল ইসলাম মামলার তদন্ত শেষে পাঁচ আসামির নামেই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচার চলাকালীন সময়ে পাপিয়ার শ্বশুর আনোয়ারুল হক মৃত্যুবরণ করেন। 

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর স্পেশাল পিপি এডভোকেট এম এ আফজল এবং আসামিপক্ষে ছিলেন এডভোকেট মোজাম্মেল হক মাখন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |