ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি করার চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
সোমবার (১৪ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের প্রধান উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, তার মৃত্যু তো স্বাভাবিক মৃত্যু। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার তিনি হার্টের ব্যথা অনুভব করলে তাকে বিএসএমএমইউতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে। এর জন্য যদি কেউ আইন শৃঙ্খলার অবনতি করার চেষ্টা করে তাহলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সোমবার (১৪ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান।
বিএসএমএমইউ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. রেজাউর রহমান সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবা সকালের দিকে ভালো ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং রাত ৮টা ৪০ মিনিট তিনি মারা যান।
বিএসএমইউ এর কার্ডিওলজি বিভাগের প্রফেসর মোস্তফা জামান বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। আগে থেকেই তার হার্টে পাঁচটি রিং পরানো ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে তার আরেকটি অ্যাটাক হয়। আমরা ওনার ছেলেকে ডেকে লাইফ সাপোর্টের যে ইনটিউবিশন টিউব ছিল সেগুলো খুলে নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে কথা বলেছি। অবশেষে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ওনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (১৩ আগস্ট) বিকেলে বুকের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিএসএসএমইউ-তে পাঠানো হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন, ধর্মান্তর করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের আটটি অভিযোগ প্রমাণিত হলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল দুটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে রিভিউ আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দেন।