ঢাকাশুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

জনবান্ধব ভূমি অফিস! 

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ১০:৫০ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি যেন ভূমি অফিসের সমার্থক শব্দ। দালালদের হাতে সেবাগ্রহীতাদের প্রতিনিয়ত হয়রানির অভিযোগ তো রয়েছেই। তবে রংপুরের গংগাচড়া ভূমি অফিস এক্ষেত্রে পুরোপুরি ব্যতিক্রম।

বিজ্ঞাপন

তথ্যমতে, এক একর ৫৬ শতক জায়গাজুড়ে অবস্থিত গংগাচড়া ভূমি অফিসে ঢুকতেই পাওয়া যাবে ‌‘হেল্প ডেস্ক’। চোখে পড়বে ‘সেবা সহজীকরণ বোর্ড’। তাতে অফিস কর্মীদের দায়িত্বের বিষয়টি লিখে রাখা হয়েছে। সেবাগ্রহীতাদের জন্য রয়েছে রেজিস্ট্রার খাতা। প্রতিটি কাজের সার্ভিস চার্জের বিষয়টিও বড় করে লিখে রাখা আছে। কারও কাছ থেকে বেশি টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। সেবাগ্রহীতারা যাতে দালালের খপ্পরে না পড়েন সেজন্য এই ব্যবস্থা। 

দৈনিক ১০০ থেকে ১৫০ জন বিভিন্ন সেবা নিতে আসেন এ কার্যালয়ে। সেবাগ্রহীতাদের সময় কাটানোর জন্য বানানো হয়েছে ভূমি-মঞ্চ। অফিসের দেয়ালে টাঙানো সিটিজেন চার্টার হালনাগাদ। পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদের সরকারের ডিজিটাল ভূমিসেবা গ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। 

বিজ্ঞাপন

সেবা নিতে আসা রাকিবুল ইসলাম বলেন, জমির রেকর্ডসংক্রান্ত একটা ঝামেলার জন্য এখানে ১ মাস আগে এসেছিলাম। পরে এসিল্যান্ড তদন্ত করে আজকে সবকিছু ঠিক করে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে আমাকে কোনো ঘুষ ও দালালের কাছে যেতে হয়নি।

জমি খারিজের জন্য এসেছিলেন গজঘণ্টা ইউনিয়নের ৫৫ বছর বয়সী সামছুল আলম। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না। কিন্তু গংগাচড়া ভূমি অফিসে এসে ধারণা পাল্টে গেছে। ঘুষ ছাড়াই সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে জমি খারিজ করেছি। 

অন্য সব সরকারি কার্যালয়ের মতো ছিল গংগাচড়া ভূমি অফিস। কিন্তু ২০২১ সালের ৪ আগস্ট কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে নয়ন কুমার সাহা যোগ দেওয়ার পরই বদলে যায় সবকিছু। দালালদের হয়রানি ছাড়াই নামজারি আর খারিজের কাজ হওয়ায় খুশি সেবাপ্রত্যাশীরা। 

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, অর্পিত সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মোকদ্দমার তথ্য বিবরণী প্রস্তুত ও প্রেরণ, গুচ্ছগ্রাম ও আদর্শ গ্রাম এবং আবাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন, মিস মোকদ্দমা পরিচালনাসহ বিভিন্ন কাজে কোনো ভোগান্তি নেই গংগাচড়া ভূমি অফিসে।

সেবা প্রদানের পাশাপাশি ভূমি অফিসে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক পরিবেশ। পুরো ভূমি অফিস চত্ত্বরকে বাহারি ফুল, ফল ও শোভাবর্ধনকারী গাছ এবং শাকসবজি দিয়ে সাজানো হয়েছে। পাখিদের বাসস্থানের জন্য প্রতিটি গাছে বসানো হয়েছে কলস। বানিয়েছেন বিনোদনমূলক নিঝর গংগা। সবকিছু মিলিয়ে রংপুর বিভাগের একটি মডেল অফিসে পরিণত হয়েছে গংগাচড়া ভূমি অফিস। 

সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহা বলেন, সাধারণ মানুষ যেন ঘুষ ও দালালমুক্ত সেবা পায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সরকার নির্ধারিত ফির বাইরে যেন অতিরিক্ত টাকা দিতে না হয় তা নিশ্চিত করতে সবসময় কাজ করে যাচ্ছি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |