হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড রংপুর

রংপুর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ , ০৬:০৬ এএম


হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়, লন্ডভন্ড রংপুর
ছবি: সংগৃহীত

রংপুরে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উড়ে গেছে কয়েক শতাধিক ঘরবাড়ি ও গাছপালা। রংপুরের তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, ও পীরগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাত পৌনে ১১টায় রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব চলে। 

স্থানীয়রা জানান, কয়েক মিনিটের ঝোড়ো হাওয়া ও শিলাবৃষ্টিতে এখানকার কৃষকদের ক্ষতি হয়। ঝোড়ো বাতাসে আম, লিচু, ভুট্টা, ধান, পাটসহ উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের স্থায়িত্ব কম হলেও কোথাও কোথাও বাতাসের বেগে ঘরবাড়ি ও গাছ-গাছালির ক্ষতির পাশাপাশি উড়ে গেছে স্থাপনা। শনিবার রাত পৌনে ১১টার পর থেকে থেমে থেমে কালবৈশাখী ঝড় ও ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে। এতে কয়েকটি উপজেলায় শতাধিকের বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ ও আবহাওয়া অধিদপ্তর এখন পর্যন্ত ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেনি।

বিজ্ঞাপন

জেলার তারাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা জানান, তাদের বাড়িতে গাছ উপরে পড়ে অনেকগুলো পাকাঘর ভেঙে গেছে। পাশাপাশি তামাকসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

এ ছাড়াও গঙ্গাচড়া উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের মন্থনা, বাগপুর, মনিরাম, কোলকোন্দ ইউনিয়নের গোডাউনের হাট, পীরের হাট, কুটিরপাড়, আলমবিদিতর ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, মণ্ডলেরহাট, শয়রাবাড়ি, নোহালি ইউনিয়নের নোহালিহাট, আনোরমারি, লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এ দিকে পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর, ছাওলা, অন্নদানগর, কান্দিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে গাছপালা উপড়ে পড়ে বাড়িঘর ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে অনেক সড়কে বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন গাছ সরিয়ে নিতে কাজ করেন। তারাগঞ্জ, গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে ঝড়ে আহত শিশুসহ বেশ কয়েকজনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে অনেকের মাথা গোঁজার ঠাঁই। গ্রামেগঞ্জে পল্লী বিদ্যুতের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের তার ছিঁড়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২০ মিলিমিটার। বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ নটিক্যাল মাইল। বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 

তবে রংপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, কালবৈশাখীর ঝড়ে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা সেগুলো খতিয়ে দেখতে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তারা কাজ শুরু করেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পরে বলা যাবে।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission