নোয়াখালীর হাতিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি কাজি আব্দুর রহিমকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোষ্ট করায় দল থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
সোমবার (২৮ আগস্ট) জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয় দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে লিপ্ত থাকায় কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়ে ছিল। কিন্তু তিনি যে লিখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। এজন্য তাকে পৌর বিএনপির সভাপতিসহ সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় এর আগে গত বুধবার (১৭ আগষ্ট) কাজি আবদুর রহিমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেন জেলা বিএনপি। তাতে ৭ দিনের মধ্যে এই বিষয়ে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়।
জানা যায়, কাজী আবদুর রহিম হাতিয়া পৌরসভা বিএনপির সভাপতি। তিনি হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষক। মাদরাসার আয়োজনে গত ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে উপিস্থিত থেকে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করেন তিনি।
কাজী আবুদর রহিমের পোষ্ট করা সেই ছবিগুলো তার ফেসবুকে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পোষ্ট করার দুই ঘণ্টা পর তিনি তা আইডি থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা স্ক্রিনশর্টের সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় দিয়ে তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।
হাতিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তানভির উদ্দিন রাজিব জানান, বিএনপির দলীয় নিয়মনীতি আছে। এই নিয়মের বাহিরে গেলে দল তার বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। কাজী আবদুর রহিমকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি সন্তোষজনক জবাব দিতে পরেননি। তাই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, কাজী আবদুর রহিম একটি মাদরাসায় চাকরি করেন। তাতে তিনি জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে থাকতেই পারেন। কিন্তু তিনি বিএনপির একটি বড় দলীয় পদে থেকে সে সব ছবি সোশাল মিডিয়ায় পোষ্ট করতে পারেন না।
এ বিষয়ে কাজী আবদুর রহিম বলেন, আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বহিস্কার করা হয়নি। কেন অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আমার চেয়েও আরও ভালো কাজ করতে পারে এমন কাউকে এই পদ দেওয়া হতে পারে।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান বলেন, কাজী আবদুর রহিমকে ৭ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে লিখিত জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।