পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথ উদ্বোধন করতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উদ্বোধন শেষে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই জনসভাকে কেন্দ্র করে সকাল ৯টা থেকেই দলে দলে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন ড. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে।
শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা সেজে উঠেছে নতুন রূপে। এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন ও জংশন সংলগ্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের ফিরিস্তি তুলে ধরে সাঁটানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন। সব মিলিয়ে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে ভাঙ্গায়।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসূচি সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে সকাল ১০টার দিকে সড়কপথে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথের উদ্বোধন করবেন। পরে সেখান থেকে ট্রেনে করে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে থেকে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভাঙ্গার ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন। জনসভা শেষে নিজ জন্মভিটা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ফরিদপুর সফর উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে পুরো ভাঙ্গাকে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বাহিনীর পোশাকের পাশাপাশি সাদা পোষাকে বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা সংস্থা ভাঙ্গায় নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।