ঢাকামঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

গলায় মাংসের হাড় আটকে যায় আসাদুল্লাহর, অতঃপর...

আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৮ জুন ২০২৫ , ০৯:১৮ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি। তবে সেই আনন্দ মুহূর্তেই রূপ নেয় বিষাদে। বাবার পাশে বসে মুরগির মাংস খাওয়ার সময় গলায় হাড় আটকে যায় শিশু আসাদুল্লাহর। টের পেয়ে বাবা আশরাফুল ইসলাম চিৎকার দিয়ে ওঠেন। চেষ্টা করেন ১৫ মাস বয়সী শিশুর মুখ থেকে হাড় বের করার। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না। এক পর্যায়ে সে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে শুরু হয় পরিবারের সদস্যদের ছোটাছুটি। একে একে নেওয়া হয় চারটি হাসপাতালে। তবে কেউই শোনায়নি আশার বাণী। সবাই এক বাক্যে বলেছেন, শিশুটি আর আমাদের মাঝে নেই।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ জুন) ঈদের দিন দুপুরে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা সদরের কুট্টাপাড়া গ্রামে।

রোববার (৮ জুন) দুপুরে সরেজমিনে কুট্টাপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, শিশুটির বাবা আশরাফুল ইসলাম চিৎকার করে কাঁদছেন ও মা আছিয়া বেগম বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। সেই সঙ্গে বিলাপ করছেন শিশুটির দাদি আশেয়া বেগমও। 

বিজ্ঞাপন

এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার চোখের সামনে আদরের সন্তানটি মারা গেল। কিছুই করতে পারলাম না। 

তিনি আরও বলেন, আর কারও সন্তান যেন এমনভাবে চলে না যায়। আর কোনো বাবার যেন এমন দৃশ্য দেখতে না হয়।

আরও পড়ুন

বিলাপ করতে করতে শিশুটির দাদি আশেয়া বেগম বলেন, কাল দুপুরেও আমার নাতি আমার সঙ্গে ছিল। কিছুক্ষণ ফরই এই ঘটনা ঘটলো। 

তিনি আরও বলেন, জ্বর-তাপে মারা গেলে মনকে বুঝাতে ফারতাম। কিন্তু একি অইল মুহূর্তের মধ্যে তাজা একটি প্রাণ শেষ অইয়া গেল। 

এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শুভজিৎ ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের এখানে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। শিশুটির শ্বাসনালি বন্ধ হয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল।

আরটিভি/আইএম

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |