রাঙ্গামাটি শহরের ভেদভেদী এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি-অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহতের ঘটনায় পলাতক চালক নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ আহম্মদ।
সংবাদ সম্মলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মারুফ আহম্মদ জানান, বাস দুর্ঘটনার পর চালক পালিয়ে যায়। পরে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ চালক নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।
রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের এক পর্যায়ে গত ৮ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার চট্টগ্রাম পাঁচলাইশ থানাধীন জামিয়াতুল সুন্নিয়া মাদরাসা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি টিম, সাইবার ক্রাইম মনিটরিং সেল এবং কোতোয়ালি থানা পুলিশ কাজ করে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ নেওয়াজ রাজু, সদর সার্কেল জাহিদ হোসেন, কোতোয়ালি থানার অফিসার (ওসি) ইনচার্জ মো. আরিফুল আমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের ভেদভেদী বাজার এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় সিএনজি-অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশা চালকসহ আহত হন আরও চারজন।
নিহতরা হলেন, পরী চাকমা (৪৮) ও গুরিমিলে চাকমা (৫০)। আহতরা হলেন পিন্টু চাকমা (২২), রিপন চাকমা (৪০), রিকন চাকমা (২৬) ও পরি চাকমা (৪৮)। হতাহতরা সকলেই রাঙ্গামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের যৌথ খামার এলাকার বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অটোরিকশাচালক পিন্টু চাকমা রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকি তিনজন চিকিৎসা নিচ্ছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে।
ঘটনার পরদিন রোববার রাতে দুর্ঘটনায় নিহত গুরিমিলে চাকমার (৫০) ছোট ভাই আপন চাকমা (৩৮) বাদী হয়ে রাঙ্গামাটির কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় কেবল বাস চালক নুরুল আবছারকে আসামি করা হয়েছে।