লক্ষ্মীপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল পেয়ে চুরির অপবাদে মারধরের শিকার নিশাদ হোসেন (১৪) নামে এক কিশোরকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিশাদ দিঘলী ইউনিয়নে পশ্চিম দিঘলী গ্রামের হোসেন আহমেদের ছেলে।
এর আগে সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোহেল হোসেন, মো. হাবিব ও মো. হোসেন নামে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে নিশাদ মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত সোহেল পূর্ব দিঘলী গ্রামের আব্দুস শহীদের ছেলে, হাবিব একই গ্রামের হেঞ্জু মিয়ার ছেলে ও হোসেন একই এলাকার খোকন সর্দারের ছেলে।
নিশাদ জানায়, শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে সে দিঘলী পশ্চিম বাজারে ফারুকের দোকানে নাস্তা করতে আসে। নাস্তা শেষে ওই দোকান থেকেই একটি বস্তা নিয়ে মানুষের সুপারি আনতে যায়। সেখান থেকে সে বাড়িতে ফিরে। কিছুক্ষণ পরই সোহেল বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে নেয়। বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে সোহেল তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। একপর্যায়ে তাকে কাঠ দিয়েও পেটায়। পরে হাবিব ও হোসেন নামে আরও দুইজন এসে তাকে মারধর করে। সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েও সে রক্ষা পায়নি। বিকেলে ফের ধরে এনে পূর্ব দিঘলী গ্রামে তাকে অভিযুক্তরা এলোপাতাড়ি মারধর করে। খবর পেয়ে নিশাদের চাচাতো ভাই মো. আলাউদ্দিন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাকে মারধর থেকে রক্ষা কর। পরে পুলিশ তাকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
নিশাদ আরও বলেন, সোহেল তার মোবাইল চুরির অপবাদে আমাকে মারধর করে। কাঠ দিয়েও পিটিয়েছে। পরে হাবিব ও হোসেনও আমাকে মারে। আমি মোবাইল চুরি করিনি। পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করেছে।।
বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত সোহেল ও হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। রাত ১১টার দিকে অপর অভিযুক্ত হাবিব কল রিসিভ করলেও ঘটনাটি জানতে পেরে পরে কথা না বলে কল কেটে দিয়েছেন। এরপর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, আহত অবস্থায় এক কিশোরকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে জখমের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে বাড়িতে চলে গেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ হোসাইন বলেন, ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে নিশাদকে উদ্ধার করি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।