ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিপিডিসি) এগিয়ে নিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক বছর ধরে ডিপিডিসির স্পেশাল টাস্কফোর্স পরিচালনার মাধ্যমে ডিপিডিসির আওতাধীন এলাকায় গ্রাহকের দোরগোড়ায় গিয়ে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা উদঘাটন, সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণসহ বিদ্যুতসংক্রান্ত অনিয়ম রোধ করা এবং বিদ্যুৎ চুরির ফলে হারানো রাজস্ব পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। গ্রাহকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে টাস্কফোর্স টিমের নিকট তথ্য প্রদান করছে। অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দালাল কিংবা মিটার রিডারদের ব্যাপারেও গ্রাহকরা সতর্ক হয়েছে। একই সঙ্গে প্রচুর অবৈধ মিটারও জব্দ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গ্রাহককে সরাসরি বিদ্যুৎ চুরি করতে সহায়তা করার অপরাধে ইতোমধ্যে কাস্টমার সাপোর্ট সার্ভিসের আওতায় আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ঠিকাদার কর্তৃক নিয়োগকৃত ৬৮ জন কর্মীকে অপসারণ ও ডিপিডিসির ৭ জন কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রায় দুই হাজার ৫০০ মিটার পরিদর্শন করে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ৩৫ জন গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে, যা বর্তমানেও চলমান।
বিদ্যুৎ চুরি, বিদ্যুতের দালাল এবং দুর্নীতিবাজ সিএসএস কর্মীদের ব্যাপারে সতর্ক করার পাশাপাশি বিদ্যুৎসংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এনওসিএস দপ্তরে, হটলাইন, ওয়েবসাইট এবং স্পেশাল টাস্কফোর্সে দপ্তরে যোগাযোগ করতে উৎসাহিত করা হয়।
শুধু তাই নয় বিলুপ্ত ডেসা নামক ডিপিডিসির একটি সেল দীর্ঘদিন ধরে চলমান ছিল। যার কারণে ডেসা আমলের বেশ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন, পেনশন সংক্রান্ত জটিলতা ছিল। মো. আসাদুজ্জামানের চেষ্টায় দীর্ঘদিনের সেই জটিলতাও নিরসন হয়।
ডিপিডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কম খরচে সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ঢাকার পাঁচটি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া মেডিকেল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসহ ড্যাশ বোর্ড আপগ্রেড, ইসিসিডিডিআরবি,র সহায়তায় সব কর্মচারীদের ব্লাড স্ক্রিনিং এবং কোভিডকালে ঢাকার সব হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।
এসব বিষয়ে ডিপিডিসির কোম্পানি সচিব মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা যেখানে কাজ করি, সেটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমরা জনগণের সেবক। সেই দায়িত্বের জায়গাটুকুই পালন করার চেষ্টা করেছি। ডিপিডিসি চেয়ারম্যানের সঠিক দিক-নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতা ছাড়া এসব উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব ছিল না।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, নিজের কাজের ব্যাপারে তিনি খুবই আন্তরিক। আশা করছি ভবিষ্যতেও তিনি এটি অব্যাহত রাখবেন।