টঙ্গী সরকারি কলেজের মাঠের গেটের তালা ভেঙে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর-২ আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, টঙ্গী সরকারি কলেজ মাঠে বিকেলে ট্রাক প্রতীকের পূর্ব নির্ধারিত নির্বাচনী সভা ছিল। সভায় যোগদানের জন্য নেতাকর্মীরা কলেজ মাঠের গেটের সামনে আসলে টঙ্গী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খানের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী কলেজের মূল ফটকে ভেতর থেকে তালা লাগিয়ে দেন।
এ সময় মাঠের ভেতরে ছাত্রলীগের নৌকার মিছিল ও ফটকের বাইরে ট্রাক প্রতীকের মিছিল হয়। একই জায়গায় দুই প্রতীকের পাশাপাশি মিছিল হলে উত্তেজনা দেখা দেয়। গেটের সামনে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকরা একটি ট্রাকে উঠে পথসভা শুরু করেন।
সভা চলাকালীন সময়ে ট্রাকের সমর্থক বাড়তে থাকে। বিকেল ৪টা সময় গেটের সামনে ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম এবং থানা যুবলীগের সভাপতি সাত্তার মোল্লা উপস্থিত হলে ট্রাক প্রতীকের সমর্থকেরা গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে মাঠে ট্রাক এনে মঞ্চ করে সভা শুরু করে।
সভায় আওয়ামী লীগ নেতা রজব আলী, এম এম হেলাল উদ্দিন, এম এম নাসির উদ্দিনসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন বলেন, জানুয়ারির ৭ তারিখের নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকে ভোট দিয়ে আপনারা টঙ্গীবাসীকে জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার করবেন। মানুষ সুখ দুঃখের কথা বলতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদ আহসান রাসেল এমপিকে সঠিক সময়ে পায় না। আমাকে ভোট দিলে আপনারা আমাকে পাবেন।
সভায় সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদেরকে তালা মেরে দিয়েছেন। আপনারা তালা খুলবেন। আর আমাদের আঘাত করলে ২৪ মিনিটের মধ্যে প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
জাহিদ আহসান রাসেলকে উদ্দেশ্য করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাকে খোচা দেবেন না। খোচা দিলে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে কি ভাবে পাশ করেছেন সব ডকুমেন্ট আছে, প্রকাশ করে দিব। এসব ডকুমেন্ট দেশি বিদেশি মিডিয়ায় প্রচার হবে। গাজীপুরে ২৪ লাখ শ্রমিক ও ১৭০০ মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন, ভোট পাহারা দেবেন তারা।
যদি কাউকে হয়রানি করা হয় তবে গাজীপুর অচল করে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন জাহাঙ্গীর আলম।
তালা দেওয়ার বিষয়ে টঙ্গী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক সেলিম খান বলেন, আমরা তালা দেইনি। কিছু লোক কলেজ মাঠে ধূমপান করছিল তাদের নিষেধ করেছি মাদক সেবন না করতে। সভায় আমরা কোন বাধা দেইনি।
টঙ্গী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মাঠের নির্বাচনী পারপাসে কোনও সভা করার অনুমতি ছিল না।