• ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১
logo

সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ : আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

নোয়াখালী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:১০
ছবি : সংগৃহীত

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাকে জেলা শহর মাইজদী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তারকৃত আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার (৫০) উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত গোলাপের রহমানের ছেলে এবং চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।

নির্যাতিত গৃহবধূর বয়স (৩০) ও তার মেয়ের বয়স (১২)। সে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। সে ৩-৪ দিন পরপর বাড়িতে আসে। তাকে কাজের জন্য প্রায় বাহিরে থাকতে হয়। ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে এ সুযোগে সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার মধ্যে তার বসতঘরের সিঁধ কেটে তাকে এবং তার মেয়েকে ধর্ষণ করে তিন ধর্ষক।

নির্যাতিতার স্বামী জানান, মুন্সী মেম্বার কিছুদিন আগে তার স্ত্রীকে পোড়া মোরগ খাওয়ানোর প্রস্তাব দেন এবং বিপদ-আপদে পড়লে সহযোতিার আশ্বাস দেন। কিন্তু স্ত্রী ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুন্সী মেম্বার তার মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে উক্ত্যত করত। পরে মোবাইল নম্বর ব্লক করে দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এ ঘটনার জের ধরে এ ঘটনা ঘটায়।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২ জনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় আরও একজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। গৃহবধূ ও তার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীল সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই সময় দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই দলবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে তাদের অর্থদণ্ড করা হয়। এ উপজেলা দলবদ্ধ ধর্ষণের জন্য দেশব্যাপী বারবার আলোচনায় আসছে।

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মরদেহ গোসলের সময় দেখা গেল আঘাতের চিহ্ন, অতঃপর...
হত্যাচেষ্টা মামলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল গ্রেপ্তার
বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ৪ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে ১৬ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার