স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যা, মা ও সৎমা আটক
ফেনীর পরশুরামে হাতে-পায়ে স্কচটেপ পেঁচিয়ে শিশুকে শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শিশুর বাবার ভাড়া বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুর মা ও সৎমাকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়া ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ফেনী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহদাৎ হোসেন, সংশ্লিষ্ট থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালী উল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা। তদন্তে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এনজিও সংস্থার গাড়িচালক নুরুন নবী ১৩ বছর আগে একই এলাকার কোলাপাড়ার আয়েশা আক্তারকে বিয়ে করেন। তাদের দুই মেয়ে ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) ও লামিয়া আক্তার (৮)। পারিবারিক কলহের কারণে নবীকে আদালতের মাধ্যমে তালাক দেন আয়েশা। পরে অন্য একজনকে বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন।
এদিকে এক ছেলের মা রেহেনা আক্তারকে বিয়ে করে চার বছর ধরে সংসার করছেন নবী। ভোলার লালমোহনে তার সঙ্গেই থাকে আগের ঘরের দুই মেয়ে। প্রথম সংসারের দুই মেয়ে, নতুন স্ত্রী রেহেনার সাত বছরের ছেলে এবং রেহেনা-নবী দম্পতির ঘরের মেয়ে নাবিলাকে নিয়ে তাদের সংসার।
নবীর অভিযোগ, আগের স্ত্রী আয়েশা দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিত। গত সোমবার আয়েশা তার খালাতো ভাই জাবেদের ছেলের আকিকা অনুষ্ঠানে পরশুরামে এসে নবীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। মঙ্গলবার আয়েশার দুই মেয়ে ফাতেমা ও লামিয়াকে বাসায় রেখে নিজের দুই সন্তান নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান রেহেনা। দুপুরে মোটরসাইকেলে দুজন যুবক এসে লামিয়াকে হত্যা করে। এ সময় লামিয়ার হাত-পা স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
বড় বোন ফাতেমা থানায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ালীকে জানায়, দুজন লোক লাল মোটরসাইকেলে এসে গেট খুলে লামিয়াকে জাপটে ধরে। তারা চলে গেলে লামিয়ার দেহ টেপ দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
মন্তব্য করুন