গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলার মূলহোতা ওই মাদরাসার মুহতামিম ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) গ্রেপ্তারকৃতদের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিজ্ঞ বিচারক তাদেরকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশরাফুল আলম।
তিনি জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের বাঁশবাড়িয়া পরিজান বেগম মহিলা কওমি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার মূল আসামি ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত মাদরাসার মুহতামিম ইসমাইল হোসাইনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে মেয়েটির বাবা বলেন, তার মেয়ে মাদরাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়েন। বুধবার সন্ধ্যার পর আমার মেয়ে মাদরাসা থেকে বাড়িতে আসার পর তাকে শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ মনে হচ্ছিল। মেয়েকে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স শারীরিক অবস্থা দেখে আমার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে জানায়। পরে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়। আমার মেয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেখানেই আমার মেয়ের চিকিৎসা চলছে।