৩য় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
চাঁদপুরের কচুয়ায় তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কাজী আসাদ উল্যাহ (৫৫) নামে এক মহিলা মাদরাসার অক্ষধ্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে পৌরসভার কাজী বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত কাজী আসাদ কচুয়া হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার অধ্যক্ষ এবং খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য। তিনি পৌরসভার হাট কচুয়া গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত কাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।
এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা রোববার কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আকানিয়া গ্রামের ধর্ষণের শিকার শিশুটি কচুয়া সরকারি পাইল উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদরাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদরাসার হোস্টেলে থেকে আবাসিক ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করত। গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শিশুটি খাবার পানি আনার জন্য প্রতিষ্ঠানের নিচ তলায় গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল কাজী মো. আসাদ উল্যাহ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার সহপাঠী ও পরিবারকে ধর্ষণের বিষয়ে খুলে বললে শিশুর মা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে রোববার শিশুটির মা কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন মামলা দায়ের করেন।
কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কচুয়া থানাধীন হাটকচুয়া এলাকা হইতে উক্ত মামলার আসামি কাজী আসাদকে গ্রেপ্তার করে বিধি মোতাবেক যথাযথ পুলিশ পাহারায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আরটিভি/এফআই/এস
মন্তব্য করুন