বাংলাদেশে পালিয়ে আসা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ১৭৯ সদস্যকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের ১১ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প সংলগ্ন বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বিজিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচয় শনাক্তের পাশাপাশি তথ্যভান্ডার তৈরির কাজ চলছে। এর পর যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজিপি সদস্যদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মিয়ানমারের বিজিপির মোট ১৭৯ জন সদস্যকে নিরস্ত্রীকরণ করে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ মুজাহিদ উদ্দিন জানান, ১১ মার্চ প্রথমে সকালে ২৯ জন ও পরে রাতে ১৫০ জন মিলে সর্বমোট আসা ১৭৯ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরের বর্ডার গার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। বর্তমানে তাদের পরিচয় শনাক্তকরণ কাজ চলছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিদ্রোহী যোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্যসহ ৩৩০ জন সেনা। পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার উখিয়ার ইনানী নৌ–বাহিনীর জেটিঘাট দিয়ে তাদের মিয়ানমারে পাঠানো হয়। আর ১১ মার্চ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন আরও ১৭৯ জন।