নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগ
সরকারি চাকরিজীবীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বিধিনিষেধ থাকলেও তথ্য গোপন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহর বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন শিশির মনির নামের এক আইনজীবী।
মনোনয়ন ও সরকারি চাকরি চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিটে আবেদনটি প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল ইস্যু করে আদেশ দিয়েছেন। আদেশে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে জবাব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে রিট আবেদনে মোহাম্মদ শফিউল্লাহর পাশাপাশি প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
জানা যায়, মো. শফিউল্লাহ নাইক্ষ্যংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের শিক্ষক হওয়া স্বত্বেও আসন্ন ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।
রিটে উল্লেখ করা হয়, তিনি নাইংক্ষংছড়ি হাজী এম এ কালাম সরকারি কলেজের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিগত উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে ২০১৮ সালে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হন এবং বিগত ৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অথচ ২০২৩ সনের ২৫ জুলাই প্রকাশিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সরকারি কলেজ-৫ শাখার প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মোহাম্মদ শফিউল্লাহর নাম রাষ্ট্রবিজ্ঞান প্রভাষক হিসেবে ১০ নম্বর ক্রমিকে অর্ন্তভুক্ত দেখা যায়। যার ইনডেস্ক নং-৮৩৪৯১৯।
এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেন, আমি গত উপজেলা নির্বাচনে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছি। এখনও তালিকায় নাম থাকলে সেটা আমি জানিনা, সেটা কলেজ কর্তৃপক্ষ জানবে, অব্যাহতি দেওয়ার পরও কেন তালিকায় আমার নাম আছে।
এই প্রসঙ্গে জানতে যোগাযোগ করা হলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাফর আলম বলেন, অধ্যাপক শফিউল্লাহ একসময় কলেজে ছিলেন। গেজেটেও তার নাম আছে। তবে তিনি কলেজ থেকে বেতন নেন না বা ক্লাসও করান না।
বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে রয়েছি; আপনি শফিউল্লাহর সঙ্গে কথা বললে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
জানতে চাইলে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বান্দরবান জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম। তথ্য উপাত্ত কতটুকু সত্য তা যাচাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন