ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সরকারি ৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন নিলামে বিক্রির পর দুর্নীতির অভিযোগ আরটিভিতে সংবাদ প্রচারের পর পুনঃনিলামে ফের বিক্রয় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা মিলনায়তনে নিলাম কমিটি ৩টি বিদ্যালয় ভবন নিলামে বিক্রয় করেন।
এর আগে, গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি আখাউড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ৮টি ভবন নিলামে তোলা হয়।
ভবনগুলো ১১ লাখ টাকায় বিক্রি হলেও কাগজে কলমে দেখানো হয় মাত্র এক লাখ ৭৯ হাজার ৫০০ টাকা। ভবনগুলো বিক্রির নোটিশ বিদ্যালয়ের দেয়ালে টাঙানো এবং মাইকে প্রচার-প্রচারণার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে শুধুমাত্র উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে নিলামের নোটিশ টাঙানো ছিল। এতে নিলাম কমিটির বিরুদ্ধে অসৎ কর্মকাণ্ডে জড়ানো এবং অর্থ আত্মসাৎ-এর অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি সরকারকে মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ারও অভিযোগ ওঠে। পরে সরকারি ভবন নিলামে বিক্রিতে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরটিভিতে সংবাদ প্রচার হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। গঠন করা হয় ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি।
পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের গঠিত তদন্ত কমিটি ভবন নিলামের অনিয়মের সত্যতা মিলে। ৪ মাস পর ৮টি ভবনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ফের নিলামে তোলেন ৩টি ভবন। ওই তিন বিদ্যালয়ের ভবন পূর্বে ৭২ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার পুনঃনিলামে তা ৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় আখাউড়ার সচেতন মহলে। উপজেলা নিলাম কমিটির অনিয়মে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এদিকে উপজেলা প্রকৌশলী নিলাম কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম সুমন তার দায় অস্বীকার করে সাংবাদিক এড়িয়ে যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিলাম কমিটির আহ্বায়ক রাবেয়া আক্তার সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে বলেন, জেলা কমিটির তদন্তের নির্দেশর আলোকেই ফের নিলাম ডাকা হয়।