ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় যারা গত ২ মাসে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়েছেন তাদের তথ্য অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
সোমবার (২২ জুলাই) যাত্রাবাড়ী এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে কিছুদিন আগে থেকেই এই অপতৎপরতা চালানোর জন্য ঢাকার বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা ঢাকায় এসে ঘাঁপটি মারে। বিভিন্ন বাসা তারা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, যারা গত দুই মাসে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসা ভাড়া নিয়েছেন তাদের তথ্য অতিদ্রুত সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিন। পুলিশ যাচাই-বাছাই করে দেখবে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে যারা উঠেছেন তারা নাশকতার সঙ্গে যুক্ত কিনা। ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ ঢাকা শহরের সোয়া দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে সর্বদা বদ্ধপরিকর।’
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে তা মানুষের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে। পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং কারফিউ জারির পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা পুলিশকে সহযোগিতা করছে। তারপরেও স্বাধীনতা বিরোধী ও অপতৎপরতাকারী যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেটি রোধে বাংলাদেশ পুলিশ জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছে। পুলিশ সদস্যকে হত্যার জন্য টাকা দিয়ে মানুষ নিয়োগ করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যদের সন্তান পরিচয় পেলে তাদেরও হত্যা করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে। এ ছাড়া যারা এই অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত তাদের প্রত্যেককে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এরপর তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে যা যা করার তাই করা হবে।’
নগরবাসীর উদ্দেশ্য করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘নাশকতাকারীদের তথ্য দিন। নাশকতাকারীরা দেশের যেখানেই লুকিয়ে থাকুক তাদের আমরা ধরে এনে শাস্তির মুখোমুখি করবো। সেই সামর্থ্য বাংলাদেশ পুলিশ তথা ডিএমপির রয়েছে।’