সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে চলা সহিংসতার মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন খুলনার নবপল্লী এলাকার শেখ মো. সাকিব রায়হান।
রোববার (২৯ জুলাই) তার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে শোকেমাতাম তার বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা। দশদিন পেরিয়ে গেলেও রায়হানের কথা ভুলতে পারছেন না তারা।
জানা গেছে, দরিদ্রতার কারণে বেশিদূর লেখাপড়া করতে পারেননি সাকিব রায়হান। চাকরি করে ভাগ্য বদলাতে খুলনা থেকে ঢাকায় পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি। ঢাকায় তিনি মোবাইলের সিম বিক্রি ও চলমান অর্থনৈতিক শুমারির মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সংঘর্ষের মধ্যে শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন সাকিব।
সাকিবের বাবা শেখ মো. আজিজুর রহমান জানান, ‘১৯ জুলাই বিকালে ঢাকার সোহরাওয়াদী হাসপাতাল থেকে একজন ফোন করে জানায়, আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে। পরদিন ভোরে আমার মেঝো ছেলে অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে এলাকায় ফেরে। পরে জানাজা শেষে বসুপাড়া কবরস্থানে সাকিবকে দাফন করা হয়। তবে সেদিন ঢাকায় কীভাবে কী ঘটেছিল আমার কিছুই জানিনা।’
আজিজুর রহমান বলেন, ‘বিচার, না কারও কাছে বিচার চাই না। বিচার আল্লাহপাক করবে। এ নিয়ে আমার কোনো কিছু বলার নেই।’
কাঁদতে কাঁদতে সাকিবের মা নূরুন্নাহার বেগম বলেন, ‘আমাদের কিছু বলার নেই। মরদেহ ফেরত পেয়েছি, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। কত মা তো তাও পায়নি।’