রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
টানা ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করে সতর্ক করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি শুক্রবারও (২ আগস্ট) অব্যাহত থাকায় ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হয়েছে শহরের রূপনগর, শিমুলতলী, লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়। ভারী বর্ষণ শুরু হলে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় অথবা কাছাকাছি আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে।
এ দিকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন সড়কের ওপর মাটি ধস ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসন ও সওজ জানিয়েছে, পাহাড় ও মাটি ধসের কোনো খবর পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান বলেন, বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকলেও এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে চলমান বৃষ্টিতে যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ফায়ার সার্ভিস, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সড়ক ও জনপথ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্য বিভাগকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নজরদারি করছেন। এ ছাড়া ভারি বৃষ্টি হলে লোকজনকে নিকস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করে সর্তক করে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা জেলা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রেখেছি। এ ছাড়া আশ্রয়কেন্দ্রে আসাদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনায় ৫ সেনাসদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সে বছর রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একটি অংশ ধসে সপ্তাহব্যাপী সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছিল। দুই সপ্তাহের মতো বন্ধ ছিল খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি আঞ্চলিক মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল। ২০১৮ সালে জেলায় নানিয়ারচরে ১২ জুন পাহাড় ধসে মারা যান আরও ১১ জন। এর পরের বছর জেলার কাপ্তাইয়ে মারা গেছেন তিনজন। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিপাত হলেও রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা তৈরি হয়ে থাকে।
মন্তব্য করুন