পালিয়েছেন মেয়র বিল্লাল, মুক্তাগাছায় স্বস্তি
আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থানের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা পৌরসভার মেয়র বিল্লাল হোসেন সরকার। তার নেতৃত্বেই পুরো উপজেলা জুড়ে চলতো দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং নিয়োগ বাণিজ্য। মতের অমিল হলেই মামলা-হামলা করে হয়রানি করা হতো। শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর প্রাণনাশের ভয়ে বিল্লাল সরকার পালিয়ে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মুক্তাগাছায়।
স্থানীয়রা জানান, শ্রমিক থেকে ৮০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় পার্টিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে আসেন বিল্লাল হোসেন সরকার। এরপর যুবলীগ এবং ২০০৫ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলে তাকে আর পেছন ফিরে থাকাতে হয়নি। সবশেষে দলীয় প্রতীক নিয়ে পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি জমি দখল, চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য করে শতশত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। মুক্তাগাছা শহরে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেছেন দৃষ্টি নন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি। ময়মনসিংহ শহরে একাধিক ফ্ল্যাটসহ কানাডায় বাড়ি কেনারও তথ্য রয়েছে।
কয়েকজন সিএনজি চালক জানান, শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর মুক্তাগাছা থেকে বিল্লাল সরকার পালিয়ে যাওয়ায় পরিবহনে চাঁদা বন্ধসহ হয়রানি মুক্ত হওয়ায় খুশি তারা।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মহানগর শাখার সম্পাদক আলী ইউসুফ বলেন, রাজনীতির নামে লুটপাট করে যারা দুর্নীতির পাহাড় গড়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সাত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিল্লাল হোসেন সরকারের মেয়ের জামাতা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহবুবুল আলমকে আটক করে গাড়িসহ টাকা পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা।
মন্তব্য করুন