ফরিদপুরে ভূমি অফিসের অনিয়ম ধরল শিক্ষার্থীরা
এবার ফরিদপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের অনিয়ম-দুর্নীতি ধরল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। ওই অফিসের সার্ভেয়ার মো. রাইসুল ইসলামের বিরুদ্ধে সেবাগ্রহীতার নিকট ঘুষ চাওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায় ছাত্রদের পরিদর্শনের সময়। তার এ কাজের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয় ভুক্তভোগী মো. রাতুল শেখ। এর আগে, ফরিদপুরের ভূমি অফিস গুলোতে ঘুষ লেনদেনের ভিডিওসহ প্রতিবেদন প্রচার করেছিল একটি বেসরকারি টেলিভিশন, যা ব্যাপক আলোচিত হয় জেলাজুরে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সম্রাট হোসেনের কাছে এ অভিযোগ দেন শহরের গোলালচামট মোল্লাবাড়ি সড়কের মো. সোহেল শেখের ছেলে রাতুল শেখ। এর আগে, ভুক্তভোগীর কাছে ঘুষ দাবি করলে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সহায়তা নেন।
রাতুল শেখ বলেন, আমি আমার জমির নামজারির জন্য প্রায় ১ মাস ধরে অফিসের এ টেবিল থেকে অন্য টেবিলে ঘুরছি। এ রকম আরও কয়েকজন একই কাজের জন্য অফিসের টেবিল থেকে টেবিলে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কোনো কথা বলে না। অফিসের পিয়নরা বলে আমার কাছে দেন আমি কাজ করে দেই। তাদের কাছে গেলে তারা বলে আরও কিছু অতিরিক্ত টাকা লাগবে কাজ হয়ে যাবে তাহলে। তবে আমি টাকা দিতে রাজি হয়নি।
তিনি বলেন, নামজারির জন্য সরকারি ফি লাগে ১১শ’ টাকা। আর তারা দাবি করে ১৬শ’ টাকা। তিনি বলেন, এই অফিসের বিভিন্ন কর্মচারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন আজ অফিসে একই কাজের জন্য ১৫ বার গেলাম। আজ অফিসের সার্ভেয়ার মো. রাইসুল ইসলামের নিয়োগকরা দালাল আমার কাছে এসে কিছু অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করে। পরে ছাত্র-জনতার সহায়তায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সার্ভেয়ার রাইসুল একজন প্রতিবন্ধী যুবককে নিয়োগ দিয়েছেন, রাইসুলের কাছে কোনো কাজ নিয়ে গেলে, আগে যোগাযোগ করতে হয় রাইসুলের নিয়োগ করা ওই যুবকের সঙ্গে। সেই মূলত ঘুষের কন্টাক্ট করেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সম্রাট হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না, আমরা একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেটা জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। আপনার অফিসে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে, আপনি কোনো ব্যবস্থা নেননি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এসিল্যান্ড জানান, তিনি জানতেন না।
মন্তব্য করুন