কক্সবাজারের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করেছে। তবে ঘরবাড়ির পাশাপাশি রাস্তাঘাট, খেত-খামার ও মাছের ঘেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানিতে ভেসে গিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে, ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জরুরি সহায়তাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছিল কক্সবাজারের কয়েক লাখ মানুষ।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে প্লাবিত গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় কক্সবাজারের সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু,মহেশখালী, টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকা থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে অনেক স্থানে লোকালয়ের পানি নেমে গেলেও এখনও রাস্তাঘাট ডুবে আছে।
আবহাওয়া অফিসের কক্সবাজার কার্যালয়ের কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, শুক্রবার সকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, পাবর্ত্য জেলা ও চকরিয়ার পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় মাতামুহুরি নদী ও জোয়ারের ঢেউয়ে বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন ইউনিয়নকে প্লাবিত করেছে। তবে এখন পানি কমতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসক শাহীন ইমরান বলেন, ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে যেসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে সেসব এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছে। ক্ষয়ক্ষতির পুরো চিত্র নিরূপণ করতে কাজ চলছে।