গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ময়লার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন অহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতরা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার মৌচাক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মৌচাক শিল্পাঞ্চলের প্রত্যেক বাসা-বাড়ির ময়লা গত কয়েক বছর ধরে খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি নিজের কর্মচারীদের দিয়ে সংগ্রহ করতেন। এজন্য প্রতি বাড়ি থেকে মাসে একশ থেকে দেড়শ টাকা করে আদায় করতেন। সরকার পতনের পরই ওই ময়লার ব্যবসা ওমর ফারুক গ্রুপের লোকজন দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু খাইরুলের পক্ষে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহসিন সরকার তাতে বাধা দেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় মৌচাক বাজার এলাকায় মোহসিন সরকারের গ্রুপের লোকজন ও মৌচাক ইউনয়ন শ্রমিকদলের সভাপতি ওমর আলীর লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে মৌচাক এলাকার সাইফুল ইসলাম (৩৮), হুমায়ুন আহমেদ (৪০), মৌচাক বাজার সমিতির সভাপতি মাসুদ পারভেজ (৪০) ও তার ছেলে নুর আলম সিদ্দিকী কাব্য (১৮) স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছেন। অন্য আহতরা মৌচাক এলাকার কয়েকটি ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আরও সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
মৌচাক বাজার মালিক সমিতির সভাপতি ও মোহসিন সরকারের বড় ভাই মাসুদ পারভেজ বলেন, গত তিনদিন ধরে আমাদের সঙ্গে ময়লা ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ওমর আলীদের ঝামেলা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ওমর আলীর লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওমর আলীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, মৌচাক বাজারে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি এখনও। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।