ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শীত মৌসুমেও লোডশেডিং, কারখানা মালিকদের ভোগান্তি চরমে

আশুলিয়া প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

বুধবার, ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ , ১২:১৭ পিএম


loading/img
ছবি : আরটিভি

চলছে মাঘের তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে প্রায় সারাদিন। তবে এরই মধ্যে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় গ্রিড মেইন্টেনেন্স, সিডিউল শাটডাউন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণযজ্ঞের অজুহাতে প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়ছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প কলকারখানাগুলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেনারেটর চালু রেখে শেষ করতে হচ্ছে বায়ারের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্ডারগুলোর কাজ। এতে প্রায়ই সময়মতো পণ্য সরবরাহ করতে না পেরে অনেক প্রতিষ্ঠানগুলো ঘোষণা করছে লে আউট। ফলে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান। কাজ হারাচ্ছেন শত শত কর্মীরা। তাছাড়া ডিজেলের বাড়তি দামের কারণে জেনারেটর চালিয়ে বেড়ে যাচ্ছে উৎপাদন ব্যয়। 

বিজ্ঞাপন

কারখানার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, গরম আসার সঙ্গে সঙ্গে চরম বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কবলে পড়তে পারেন তারা। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া নিয়ে তাদের কপালে চিন্তার ভাজ। সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের মালিকরা। এতে তাদের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ করে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এই শিল্পকে বাঁচাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ চাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। তারা ভাবছেন, আলাদা বিদ্যুতের লাইন থাকলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে তাই আলাদা বিদ্যুতের সংযোগ তারা চাইছেন। 

আশুলিয়ার ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকার কারণে জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন কাজ চালিয়ে যেতে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় যে পাওয়ার ইন্টারাপশন হয় এতে প্রতিবারে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট উৎপাদন একেবারে বন্ধ থাকে। এতে সময়মতো শিপমেন্ট যেমন ব্যাহত হয় তেমনি এক পাওয়ার থেকে অন্য পাওয়ারে শিফট হওয়ার কারণে কোম্পানি অন্তত দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে। ফলে কোম্পানির এচিভমেন্ট বা লক্ষ্য অর্জিত হচ্ছে না। আর সপ্তাহে ২০ থেকে ২৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকার কারণে একটি কোম্পানির প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার লোকশান গুণতে হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

কাঠগড়া এলাকায় অবস্থিত একটি সোয়েটার ফ্যাক্টরির এমডি হারুন বলেন, ‘এখনো গরম পড়েইনি শীতকাল চলছে। তবুও প্রতি এক ঘণ্টা পরপর বিদুৎ থাকে না। জেনারেটর অপারেট করে বাড়তি খরচ হয়। এতে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে ক্ষতির মুখে পড়ছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।’ 

সরজমিনে দেখা গেছে, সিডিউল শাটডাউন, মেইনটেনেন্স শাটডাউন ঘোষণা দিয়ে আটঘণ্টা থাকার কথা বললেও কখনো কখনো ১২ ঘণ্টা পরে পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ। তাছাড়া আশুলিয়ায় জামগড়া, কাঠগড়া, জিরাবো এলাকায় প্রায়ই সিডিউল শাটডাউন ও মেইনটেনেন্স এর জন্য প্রায় ১২ ঘণ্টা শাটডাউনের অজুহাতে থাকছেনা বিদ্যুৎ। এতে প্রায়ই ভোগান্তির মুখে পড়ছে কারখানার মালিক ও শ্রমিকরা।

তবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আকতারুজ্জামান লস্কর বলেন, ‘সরকারি উন্নয়ন কাজ যেমন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস নির্মাণ কাজ ও গ্রিড মেইনটেনেন্সের জন্য শাটডাউন কোথাও কোথাও শাটডাউন দেওয়া হচ্ছে। এ উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের কারণে সাময়িক সৃষ্টি হওয়া এই ভোগান্তি। তবে সাভারের নবীনগরে একটি নতুন গ্রিড হচ্ছ, এটি বাস্তবায়িত হলে অতি শিগগিরই এই ভোগান্তি লাঘব হবে।’

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এমকে/এস

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |