মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, এসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ 

ঝালকাঠি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৮:৫২ পিএম


মামলা তদন্তে ঘুষ দাবি, এসআইর বিরুদ্ধে অভিযোগ 

মামলা তদন্তে ঘুষ দাবির ঘটনায় ঝালকাঠির নলছিটি থানায় এসআই শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মাইনউদ্দিন খান নামে এক ভুক্তভোগী। 

বিজ্ঞাপন

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তিনি এ অভিযোগ দায়ের করেন। 

এ ঘটনায় তিনি আইজিপির কমপ্লেইন সেল ও ঝালকাঠির পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ করেছেন। 

বিজ্ঞাপন

অভিযোগকারী মাইনউদ্দিন খান ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার জুরকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নলছিটি থানায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে ৩ বছর কর্মরত রয়েছেন এসআই শহিদুল আলম (বিপি নম্বর ৭৬৯৪০৪৫৮৭১)। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম আকনের দায়েরকৃত শত্রুতামূলক একটি মিথ্যা মামলার তিনি তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) হিসেবে নিযুক্ত হয়ে মাইনউদ্দিন খান ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও নির্যাতন করেছেন। এসআই শহিদুল আলম ওই আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে বরিশাল সাইবার আদালতের ওই মামলায় মাইনউদ্দিন খানের নামে মিথ্যা মনগড়া কাল্পনিক তদন্ত প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদন দাখিলের আগে এসআই শহিদুল আলম ওই মামলা থেকে মাইনউদ্দিন খানকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা বলে গত ২০২৩ সালের ২০ আগস্ট ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ওই ঘুষের টাকা দিতে মাইনউদ্দিন খান রাজি না হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল (ডিভাইস) জব্দ ছাড়া এবং কোনো রিকভারি ছাড়া ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসরণ না করে মাইনউদ্দিন খানের নামে মিথ্যা ও মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। যার প্রেক্ষিতে মাইনউদ্দিন খান ১০ দিন জেলহাজতে থাকেন। 

এ ছাড়াও গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা ১০ মিনিটে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর থেকে খান মাইনউদ্দিনের ছোটভাই গিয়াস উদ্দিন খানের মোবাইলে ফোন করে মিথ্যা মামলা দিয়ে মাইনউদ্দিন খানকে আবারও জেল খাটানোসহ নানা রকম হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগীকারী মাইনউদ্দিন খান বলেন, ‘এসআই শহিদুল আলম একই থানায় দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করার সুবাদে এলাকার নিরীহ জনগণকে হয়রানি, হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে জীবনযাপন করছি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছি। এ ছাড়াও এসআই শহিদুল আলম তদন্তকালে ভরতকাঠি গ্রামের শিরিন নামে এক নারীকে হয়রানি করছেন এমন অভিযোগও রয়েছে। অনুসন্ধান করলে যার সত্যতা পাওয়া যাবে।’

অভিযোগের বিষয় এসআই শহিদুল আলম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ সবই মিথ্যা। আমি ফরেনসিক রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। আমি ২ বছরের একটু বেশি সময় নলছিটি থানায় কর্মরত আছি। আর মাইনউদ্দিন খানের ভাই গিয়াসকে ফোন করে হুমকি দেওয়ার ঘটনাও সত্য নয়।’

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission