ইসলামিক আইনে ধর্ষণের বিচারের পক্ষে মত দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।
রোববার (১৬ মার্চ) সকাল নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আটিগ্রাম এলাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে ধর্ষণের শাস্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে এ মতামত ব্যক্ত করেন তিনি।
এ সময় ধর্ষণচেষ্টার শিকার ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন আফরোজা আব্বাস।
দেশে ধর্ষণের ঘটনা বাড়ার জন্য ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনকে দায়ী করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৭ বছরের আমলে অনেক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তবুও সেগুলোর বিচার হয়নি। বরং যারা গণধর্ষণ করতো তাদের পুরষ্কৃত করা হতো। সে কারণেই এসব ঘটনা এখন বেড়েছে।’
বিএনপির এ নেত্রী বলেন, ‘সিদ্ধিরগঞ্জে ৮ বছরের এক শিশুকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণচেষ্টা করা হলো। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিষয়টি দেখেই ফোন দিয়ে পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। তাই আমরা শিশুর পরিবারের কাছে এসেছি। আমরা শিশুটির ন্যায়বিচারের পক্ষে মাঠে রয়েছি। এ নরপশুদের বিচার না হলে এরা মানুষ হবে না। আছিয়া যেভাবে মারা গেলো এর আগে যদি ধর্ষকদের কঠোর বিচার হতো তাহলে এ ঘটনা ঘটতো না।’
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে আফরোজা আব্বাস বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন। এখানে তো প্রমাণের দরকার নাই। জনসম্মুখে এদের বিচার হওয়া উচিত। আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থা আরও কঠিন হওয়া উচিত। যদি আইন না থাকে তাহলে আইন বানান। কারণ জনগণ যেটা ঠিক করবে সেটাই আইন। ইসলামিক আইনে বিচার করুক। ইসলামি আইনে আছে, ধর্ষককে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করা।’
আরটিভি/এমকে